মিশর ভ্রমণ। কোথায় থাকবেন, কি দেখবেন, খরচ কেমন তার সব পাবেন এই পোস্টে - Nas Distribution

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, April 3, 2020

মিশর ভ্রমণ। কোথায় থাকবেন, কি দেখবেন, খরচ কেমন তার সব পাবেন এই পোস্টে



লিখেছেন: নাহিদুর রহমান
মিশর, হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের এই দেশটি সম্পর্কে সেই ছোট বেলা থেকে জানি। তখন থেকেই মিশর ভ্রমণের ইচ্ছে মনের ভেতর। অবশেষে সেই সুযোগ ধরা দিল গত ২১ জানুয়ারী ২০২০ইং।
সৌদি আরবের জেদ্দায় আমার একটা বিজনেস ট্যুর ছিল। ভাবলাম পাশের দেশ মিশরও ঘুরে আসা যাক। ভ্রমণের দিক থেকে এটি আমার দশম রাষ্ট্র। আর এশিয়ার বাইরে এই প্রথম। মিশর আফ্রিকা মহাদেশে পড়েছে। যেহেতু আমি একা ভ্রমণ করেছি তাই খরচ কিছুটা বেশি ছিল। চার জনের ট্যুর হলে বেস্ট হয়। তবে দুজন হলে মন্দ নয়।
প্রথমেই আসি ভিসা প্রসেসিং
মিশরের ভিসা পাওয়া আমার কাছে ইন্ডিয়ার চেয়েও সহজ মনে হলো। ইন্ডিয়ার ভিসার জন্য যেসব কাগজ লাগে তা নিয়ে চলে যাবেন গুলশানে ইজিপ্ট ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে। ওরা সপ্তাহে সোম থেকে বুধ বার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এপ্লিকেশন জমা নেয়। ভীড় নেই বললেই চলে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ খুব একটা মিশর যায় না। ২-৩টা দেশ ঘুরা থাকলে ভালো। কয়েকটা দেশ ঘুরা না থাকলে হয়তো আপনি ভিসা পাবেন কিন্তু বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে আটকে দিতে পারে। ভিসা ফি ৩৩০০ টাকা ওখানেই ক্যাশ জমা নিয়ে নেবে।
রাত ৩টায় সৌদি এয়ার লাইনসের বোয়িং 747 দোতলা এয়ারক্রাফটে করে রওয়ানা দিলাম। জেদ্দায় পৌছাতে ৭ ঘন্টা। এরপর মিশরের কানেক্টিং ফ্লাইট। জেদ্দা থেকে মোটামুটি ২ ঘন্টা লাগে।
আকাশ থেকে প্রথম পিরামিড দেখলাম। আহা চোখ জুড়িয়ে গেলো। আর ভবনগুলো কত সুন্দর করে সাজানো।


আকাশ থেকে পিরামিড


আকাশ থেকে আধুনিক মিশর। অনেক সাজানো বিল্ডিংগুলো।


নেমেই ডলারকে ইজিপ্টশিয়ান পাউন্ডে রূপান্তর করে নিলাম। ১ পাউন্ড সমান বাংলা ৫ টাকার কিছু বেশি। মিশরই একমাত্র দেশ পেলাম যেখানে এয়ারপোর্ট এবং বাইরের মানি চেঞ্জারের রেট প্রায় সমান। তবে ভুল করেছি সীম না কিনে। বলে রাখি, মিশরে ছিনতাই, চুরি নেই কিন্তু বিদেশীদের ওরা ঠকাতে চেষ্টা করে প্রচুর। ওখানে উবার এভেইলেভল। যেহেতু সীম নেইনি তাই ট্যাক্সি নিতে হয়েছে।


তাহরির স্কয়ার

সাধারনত ট্যুরিস্টরা তাহরির স্কয়ারে থাকে। দামাদামি করে ১৫০ পাউন্ডে ট্যাক্সি নিলাম। বাংলা টাকায় ৮০০ টাকার মতো। উবার হলে হয়তো আরেকটু কম পড়ত। জানুয়ারীর শেষ দিকে তাই প্রচুর ঠান্ডা। তাহরির স্কয়ারে নেমে ইটিসালাত কোম্পানীর সিম নিলাম। ১০ জিবি নেট সহ সীমের দাম ১৬০ পাউন্ড। এরপর একটা ব্লেজার ও কানটুপি কিনে নিলাম। এটা পুরো ট্যুরে খুব কাজে দিয়েছিল।
এরপর হোটেল খোজার পালা। লাগেজ নিয়ে হোটেল খোজাটা একটু অসুবিধারই ছিল। মিশরীয়রা আধুনিকতার দিক থেকে আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। সাধারন হোটেলগুলো আপনার পছন্দ হবে না। লিফটে উঠলে দেখবেন দরজা নেই। বিশ্রি গন্ধ। অপরিস্কার।
অনেক খুঁজে গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল বের করলাম। এটার পরিবেশ মোটামুটি ভালো। ৪৫০ পাউন্ড (২৩০০ বাংলা) দিয়ে একটি ডাবল বেডের রুম নিলাম। তারপর বেড়িয়ে পড়লাম ট্রাভেল এজেন্সীর খোজে। অন্যান্য দেশের মতো এখানে গ্রুপ ট্যুর হয় না। নিজে নিজে গ্রুপ নিয়ে যেতে হয় নইলে একটা ট্রাভেল করতে হয়।

আমার ভাগ্যটা অনেক ভালো ছিল যে আহমেদ জামালের সন্ধান পেয়েছিলাম। খুবই ভালো মানুষ এবং কথা দিয়ে কথা রাখা মানুষ। হাইলি রিকমেন্ড করলাম। আপনি নির্দ্ধিধায় তার উপর ভরসা করতে পারেন।
পুরো মিশরের সুন্দর একটা প্যাকেজ বানিয়ে দিল আমাকে। সরাসরি ডলার নিল ৩৫০ ইউএস। প্যাকেজে ছিল একটি ট্যাক্সিতে কায়রোর সবগুলো স্পট এবং এন্ট্রি টিকেট। পরদিন আলেক্সান্দ্রিয়া, লাঞ্চ, সকল এন্ট্রি। এরপরদিন ট্রেনে করে লুক্সর, হোটেলে থাকা, দুদিনের লাঞ্চ, সাইট সিংয়িং, সকল স্পটের এন্ট্রি।
এই প্যাকেজটা আমার খুব উপকার করছে। যদিও দামাদামি করে ৩৫০ ডলারে রাজি করিয়েছি। প্রথমে ৫০০ চেয়েছিল। ওখানে সব কিছু আপনাকে দামাদামি করে নিতে হবে।



পুরো ট্যুর প্ল্যান। সব মিলে খরচ ৩৫০ ডলার।
২২ জানুয়ারী থেকে ট্যুর স্টার্ট।
ট্যাক্সি ড্রাইভারটাও এতো এতো ভালো ছিল। সকালে আমাকে রিসিভ করল। ট্যাক্সিতে মৃদু শব্দে কোরআন তেলাওয়াত চলছে।
প্রথম দিন ছিল কায়রো ভ্রমণ। সব পিরামিড কায়রোতেই। তবে কায়রো মিউজিয়াম আমার প্যাকেজে ইনক্লুড ছিল না। এটি তাহরির স্কয়ারেই। হেটে যেতে পারবেন। তাই ২ ঘন্টা হাতে নিয়ে নিজে মিউজিয়াম দেখে ফেলবেন। মিউজিয়াম মিস করলে কিন্তু সব মিস। হাজার বছর আগের জিনিসপত্র সব এখানে। পুরাতন জিনিসে আপনার ইন্টারেস্ট না থাকলেও যাবেন। অন্য ধরনের একটা অনুভূতি পাবেন। মমিগুলোও সব এই মিউজিয়ামে রাখা। মিউজিয়ামে প্রবেশ ফি ১২০ পাউন্ড। তবে মমির রুমে ঢুকতে হলে পরে আরো ১০০ পাউন্ড দিয়ে টিকেট কিনতে হবে। ছবি তোলার জন্য আলাদা টিকেট আছে। সেটি নেয়ার প্রয়োজন নেই। ভেতরে গিয়ে টিকেট ছাড়াই ছবি তুলতে পারবেন।


ভ্রমণ শুরু.... কায়রো

প্রথমেই চলে গেলাম সাকারা। এন্ট্রি ফি ১৮০। তবে সেটি আমার প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত ছিল




পৃথিবীর প্রথম দিকের পিলার। মানুষ যখন ভাবতে শিখল পিলার দিয়ে ভবন শক্ত করে বানানো যাবে তখনকার পিলার এগুলো।


লোকাল গাইড। এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। শুধু টাকা চায়।


পিরামিডের ভেতরে ঢুকার সুরঙ্গ।


হায়ারেগ্লিফিক


পিরামিডের ভেতর।

পিরামিডের ভেতরে যেতে প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। যদিও অনেক মানুষ ছিল তারপরও। বাইরে এসে দেখি আমার সানগ্লাস নেই। পরে সানগ্লাস খুজতে একা একা আবার ভেতরে ঢুকেছিলাম।

এখানে কিছু হায়ারেগ্লিফিক আছে যেগুলো রাজার কবরের পাথর খোদাই করে লেখা হয়েছে। কিন্তু আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে হাতে লাগবে না। লেমেনেটিং করা। সেই সময়ে পাথরে লেমেনেটিং করার পদ্ধতি ওরা কথায় পেলো কে জানে।



যাদুকরী ছবি। দেয়ালে টর্চের আলো ফেললেই কেবল ছবি ভেসে উঠে।


আরেকটা কথা বলে নেই। মিশরে পানির দাম অনেক বেশি। মোট কথা বিদেশীদের জন্য সব কিছুর দামই বেশি। তাই আমি কয়েক বোতল পানি সুপার স্টোর থেকে কিনে স্টক করে নিয়েছি। সেখানে পানির দাম বাংলাদেশের মতোই

পেপিরাস থেকে কাগজ তৈরি।

সেদিনের মতো প্যাকেজ ট্যুর কমপ্লিট। ড্রাইভার আমাকে তাহরির স্কয়ারে নামিয়ে দিল। আমি নিজ দায়িত্বে চলে গেলাম কায়রো মিউজিয়ামে। ৬-৭ হাজার বছর পুরনো সব জিনিসপত্র আর মমি দেখে আপনার ভেতরে যে অনুভূতির সৃষ্টি হবে তা পৃথিবীর কোথাও পাবেন না। ভেতরে কান্না আসবে চোখে নয়। মানুষগুলো মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকার জন্য কত কিছু যে করেছে। যখন কোন কিছুতে স্পর্শ করবেন তখন মনে হবে আপনার কলিজায় কেউ নাড়াচাড়া করছে। সাধারনত ৫০-৬০ বছরের আগের কোন কয়েন বা ডাক টিকেট দেখলেই আমরা হারিয়ে যায়। সেখানে ৬-৭ হাজার বছর আগের সব জিনিসপত্র।

পুরো মিউজিয়ামের টিকেট ১২০ পাউন্ড বা ৬০০ টাকা। কিন্তু মমি দেখতে হলে রয়েলস মমি রুমের এন্ট্রি টিকেট আলাদা করে কিনতে হবে ১০০ পাউন্ড দিয়ে। অবশ্যই ঢুকবেন। তবে রয়েলস মমি রুমে ছবি তুলতে দেয় না। কারণ সব রাজাদের মমি ওখানে। মুসা নবীর সেই ফেরাউনের লাশ ওখানে আছে। মাথার চুলগুলো পর্যন্ত অক্ষত আছে। অপর প্রান্তে আরেকটা মমির রুম আছে। সেটিতে ছবি তুলতে দেয়। তার কিছু ছবি দিলাম।

মিউজিয়াম দেখা শেষ করে উবার মটো নিয়ে চলে গেলাম পৃথিবী বিখ্যাত আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে। অনেক সাজানো গোছানো ছিমছাম বিশ্ববিদ্যালয়। তাহরির স্কয়ার থেকে দূরত্ব ১০-১৫ কি.মি. এর মতো।


২৩ জানুয়ারী ২০২০ইং দ্বিতীয় দিন।
আজকের ট্যুর আলেক্সান্দ্রিয়া। দূরত্ব ২০০ কি.মি.। সকলে ড্রাইভার চলে এলো। সেই ড্রাইভার। লোকটা এতো ভদ্র, এত ভালো। কিন্তু ইজরাইল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই কেমন যেন উতলা হয়ে গেলো। রক্ত গরম হয়ে গেলো। বলল, আমরা সাধারন জনগণ মুসলিমদের রক্ত চোষণকারি ইজরাইলকে অপছন্দ করি। কিন্তু আমাদের সরকার লুকিয়ে লুকিয়ে ওদের সাথে আতাত করে।

প্রথমেই গেলাম কাটাকম্ব। এটি আসলে একটি কবরস্থান। অন্তত ৪-৫ তলা মাটির নিচে একটি কবরস্থান। সুরঙ্গ দিয়ে ঘুরে ঘুরে নামতে হয় এখানে। গা ছমছমে পরিবেশ। একটু একটু ভয় লেগেছে। এটি আবিস্কার হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি।

এরপর গেলাম কম আল শোকাফা। সেখানে ৩টি বিশাল পিলার ছাড়া তেমন কিছু নেই। সম্ভবত রোমানদের এই পিলার। এর সম্পর্কে ডিটেইল জানা হয়নি।

এরপর গেলাম কাইটবে সিটাডেল। এটি সমুদ্রের সাথে হওয়ায় সবচেয়ে ভালো লাগার জায়গা ছিল আমার জন্য। কারণ আমার সমুদ্র পছন্দ। ঢেউ দেখে দেখে নিজের মতো করে অনেক্ষন সময় কাটালাম।

পেট ততক্ষনে চো চো শুরু করে দিয়েছে। প্যাকেজে ইনক্লুড ছিল লাঞ্চ। পাশের রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলো ড্রাইভার। আহা, সী ফুড ইচ্ছে মতো খেলাম। প্রথম বারের মতো ঝিনুকও ট্রাই করলাম। বড়টা কি মাছ জানিনা।

পাশে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু লোকাল কমলা কিনলাম। আহা মধু মধু।

এরপর গেলাম লাইব্রেরিতে। এত বিশাল লাইব্রেরি জীবনে প্রথমবার দেখলাম। এর বিশালতা লিখে প্রকাশ করা যাবে না।


সেদিনের মতো ট্যুর শেষ। ফিরে গেলাম কায়রোতে। রাতে লুক্সরের ট্রেন। লুক্সর যেতে লাগে ১০ ঘন্টা। জামালের অফিসে গিয়ে বসলাম। অন্যান্য স্টাফদের সাথে পরিচিত হলাম। ওরা মুসলমানদের যে কতটা ভালবাসে তার কিছু নমুনা পরে বলছি। আপাতত ওরা প্যাকেজের বাইরে আমাকে নিয়ে রাতের খাবার খেলো। ইচ্ছে মতো চুটিয়ে আড্ডা দিলাম। এই আড্ডায় ছিলনা কোন ভাষাগত জটিলতা, সংস্কৃতিগত জটিলতা। সবগুলো মানুষ এতো ভালো।

এর মধ্যে অমরের সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ গভীর হয়ে গেলো। শেষ দিন ওর বাসায় ছিলাম আমি।


অমর রাতের বেলায় আমাকে রেল স্টেশনে পৌছে দিল। গন্তব্য লুক্সর। পাশের সিটে যাত্রী হিসেবে ছিল অন্তত দেড় শ কেজি ওজনের এক মেয়ে।

গাইড এসে আমাকে রিসিভ করে হোটেলে নিয়ে গেলো। হাতে দিল স্পটগুলোর টিকেট।
২৪ জানুয়ারী ২০২০ইং

প্রথমদিন লাঞ্চের পর ট্যুর শুরু। শুক্রবার ছিল। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছি। ওখানে সালাম ফেরানোর পর ডান পাশের লোকজনের সাথে মানুষ হ্যান্ডশেক কর
দুইটা টেম্পল ঘুরে সেদিনের মতো ট্যুর শেষ। বিকেলে হাটতে হাটতে নীল নদের গেলাম। আমরা ভাবি নীল নদ বুঝি নীল পানির নদ। আসলে তেমনটা নয়। এটির নামই হলো Nile River.

রাতে লোকাল এড়িয়া ঘুড়তে বের হয়েছিলাম।

২৫ জানুয়ারী ২০২০ইং।
প্রথমেই গেলাম ভ্যালি অব কিংস। মিশরিয়রা এক সময় ভাবল রাজাদের জন্য এককেটা পিরামিড বানানো অনেক ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই একজন রাজা একটা বুদ্ধি বের করল। পিরামিডের মতো দেখতে একটি পাহারের মধ্যে গর্ত করে রাজাদের কবর দেয়ার সিস্টেম চালু করল। পাহারটিও দেখতে পিরামিডের মতোই।


এরপরের স্পট আল-দার-আল-বাহরি

ট্যুর শেষ। এরপর বের হলাম লোকাল এড়িয়া দেখতে।
ওদের দেশে এত খেজুর গাছ। যখন বললাম তোমাদের দেশে খেজুরগাছ থেকে শুধু খেজুর পাও। আর আমরা খেজুরতো পাই-ই। শীতকালে গাছ থেকে জুসও বের করি। শুনে ওরা অবাক হয়ে যায়।


রাতের ট্রেনে আবার কায়রো ব্যক করলাম। ফিরেই বিপত্তি। ভোর ৬ টায় ট্রেন থেকে নেমে হোটেলে গিয়ে উঠলাম। ১২টা বাজতেই হোটেল ম্যানেজার বলল তোমার টাইম শেষ। বলেন কি, আমিতো মাত্র সকালে উঠলাম। আমার ফ্লাইট কালকে। বলল সকালে উঠলে আগের দিন থেকে হিসেব হয়। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। ৪০০ পাউন্ড অলরেডি পেইড। ঘুরে ফিরে অলরেডি পকেট খালি। ওই দেশে সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ট্রাঞ্জেকশন বন্ধ। চাইলেও কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যায় না।
অমরকে জানালাম। সে বলল, তোমাকে কবে থেকে বলছি আমার সাথে আমার বাসায় থাকো। শুধু শুধু হোটেলের বিল দিচ্ছ। হোটেল ছেড়ে সোজা অফিসে চলে এসো। আমিও গেলাম। না গেলে মিস হয়ে যেতো। লোকাল এলাকায় থাকলে একটা দেশের মেইন অবস্থা বুঝা যায়।

ব্যাগ অফিসে রেখে হাটতে বের হয়ে গেলাম। নীল নদের পাড় ঘেষে হাটতে থাকলাম। গাড়িতে করে ভ্রমণ আর হেটে ভ্রমণের মধ্যেয় বিস্তর তফাত।

অমর ফেরার পথে আমাকে ট্যাক্সি
হাতে ১০০ পাউন্ডের একটি নোট গুজে দিয়ে বলল, এটা রাখো বিপদে কাজে লাগবে। আমি অবাক হতে তার দিকে তাকাই। এর আগেও হোটেল ভাড়ায় ১০০ পাউন্ড নিজের পকেট থেকে দিয়েছিল। কাস্টমার থেকে সম্পর্কটা বন্ধুত্বে রূপ নিল। আমি তাকে বাংলাদেশ ভ্রমণের দাওয়াত দিয়ে এসেছি।
বিদেশের যেখানেই যান মনে রাখবেন আপনার মাধ্যমে মানুষ বাংলাদেশকে চিনবে। সবার সাথে ভদ্র আচড়ন করবেন। মানুষও আপনাকে হেল্প করবে।

মিশর ট্যুরে প্রতিজন ১ লাখ করে বাজেট করলে সুন্দর ভাবে ঘুরে আসতে পারবেন। আমি সৌদি সহ প্লেনের টিকেট কেটেছিলাম। সৌদি এয়ারলাইন্সে দাম পড়েছে ৭০ হাজারের মতো।

অনেক বড় পোস্ট তাই রিভিশন দেয়ার টাইম পাইনি। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন।

2 comments:

  1. http://bangla.flop2hit.com/business-idea/low-investment-small-business-ideas-in-bengali/

    https://banglapreneur.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE/

    https://uddoktahub.com/category/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE/

    https://banglatech.info/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE/


    ReplyDelete
  2. ভারী ভাল লাগল লেখাটি পড়ে...আমরা গিয়েছিলাম কলকাতা থেকে , আমাদের অভিজ্ঞতাও খুব ভাল। ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে-০ আমাদের অভিজ্ঞতার ছবি এখানে শেয়ার করলাম https://www.youtube.com/watch?v=DEele9FLPrk&t=462s

    ReplyDelete